• বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জৈষ্ঠ ১৪২৯

সিরাজদিখানে আলু চাষে ব্যস্ত কৃষক

সারা দেশ

সিরাজদিখানে আগাম আলু চাষে ব্যস্ত কৃষক

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২১ নভেম্বর ২০২২

দেশের আলু উতপাদনের বৃহত্তর জেলা ও প্রধান অর্থকরী ফসল হিসেবে দেশব্যাপী মুন্সীগঞ্জের নাম সুনাম অতি পরিচিত।কার্তিক মাসের শুরুতে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নে প্রতিবছরই আগাম আলু চাষ করে মৌসুমের আগে দেশবাসীকে যেমন আলুর চাহিদা মিটায় এখানকার কৃষকরা তেমনি লাভবান ও হয় তারা।উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের মধ্যে শুধুমাত্র বালুচর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের জমিতে আগাম জাতের ধান ঘরে তুলে সেই জমিতে আলু চাষ করে।প্রতি বছর চলমান এই মৌসুমে জমিতে প্রায় ১০০ বিঘা আগাম আলু চাষ হয়ে যায়।

কিন্ত এবার পরিবেশ অনুকূলে না থাকায় ঘুর্ণিঝড় চিত্রাং কারণে আগাম আলু তেমন রোপণ করা হয়নি।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সমস্ত প্রতিবন্ধকতার সাথে মোকাবেলা করে কার্তিক মাসের শেষ থেকে পরোদমে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নে প্রায় ৫০ বিঘা জমিতে ইতোমধ্যে আগাম আলু চাষ করেছেন এলাকার কৃষকরা।

কৃষক নূর ইসলামের সাথে কথা বললে জানান,প্রতি বছর তিনি কার্তিক মাসের শুরুতেই কয়েক বিঘা জমিতে আগাম আলু চাষ করেন যদিও মূল আলু লাগানোর সময় হলো কার্তিকের শেষে।আগাম আলু চাষে প্রতি বিঘা জমিতে যদিও আলু উৎপাদন কম হয় তবে আগে আলু উত্তলন করে বাজারজাত করলে ও বিক্রি করলে ভালো লাভবান হওয়া যায়। কৃষক মামুন জানান,মূল সময়ে আলু লাগাতে বিঘা প্রতি আনুষাঙ্গিক সব মিলিয়ে ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়,আগাম আলু লাগাতেও কিছু খরচ বেশী যায়।

জানায়ায় মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের গত মৌসুমে ১০টি হিমাগারে রাখা প্রায় ৫৫ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ বস্তা আলু এখনও অবিক্রীত রয়ে গেছে। এতে লোকসানের মুখে পড়েছেন এ অঞ্চলের প্রায় ১০ হাজার চাষি ও মজুতকারী।সব কিছু ছাপিয়ে নতুন করে আবার স্থানীয় কৃষকরা মাঠে নেমে পড়েছে আলো রোপণের জন্য উপজেলা কৃষি অধিদফতরের উপ সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মুহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন সিরাজদিখান উপজেলায় এ বছর আলু রোপণের ল্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ হাজার ১ শ' ৫০হেক্টর জমিতে তবে আমাদের প্রত্যাশা এই পরিমাণ আরও বাড়তেও পারে।

 

সালাহউদ্দন সালমান
০১৭১২৯১৫৪৫১
২১—১১—২০২২

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads